বাংলাদেশ বাণী, নজরুল ইসলাম, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি : ঝালকাঠিতে একজন নারায়ন মিস্ত্রী ব্যাক্তিগত খরচে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছেন ঝালকাঠি জুড়ে। ছোট বেলায় টাকার অভাবে লেখা পড়া বেশি দুর হয়নি তার। সেই কষ্ট থেকেই সবাইকে বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছেন তিনি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিজের কষ্টের টাকায় গড়ে তুলেছন গ্রন্থাগার। কাঠের ওপর বিখ্যাত মানুষদের ছবি খোদাই করে সেই ছবি বিক্রি করে যা আয় হয় তার প্রায় সবটাই খরচ করেন গ্রন্থাগারের পিছে। পেশায় একজন কাঠ মিস্ত্রী। কিন্তু পড়াশোনার প্রতি ছিল তার অধম্য আগ্রহ। অষ্টম শেণি পাশ করা এ মানুষটি টাকার অভাবে পড়াশুনা করতে পারেনি। সমাজের কুসংস্কার আর অন্ধকার ভাবাতো নারায়নকে। তাই স্বপ্ন দেখতেন বইয়ের আলোয় সেই অন্ধারকে দূর করবেন। আর এরকম ভাবনা থেকে ২০০৩ সালে একটি মাত্র বই দিয়ে ঝালকাঠির কাঠপট্টিতে ভাড়া বাসায় যাত্রা শুরু নারায়নের গ্রন্থাগারের। এখন তার গ্রন্থাগারে বইয়ের সখ্যা ১৮'শ।
কষ্টের টাকা আর শ্রম দিয়ে গ্রন্থাগারটি গোরে তুলেন তিনি। মানুষকে পড়ায় উৎসাহিত করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেন বই। নারায়নের এই গ্রন্থাগারে আসেন সব বয়সের পাঠক। পড়তে না পারার কষ্টটা অনেক দিন ধরেই বুকে চেপেঁ ছিলেন। এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়াতে তৈরী করেন গ্রন্থাগার। জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে আলোকিত মানুষ হওয়া যায়। তার মননে এ কথাটাই বেজেছে সারাক্ষণ। বইয়ের প্রতি নেশার বাইরেও নারায়ন একজন শিল্পিও। কাঠের ওপর খোদাই করে ফুটেয়ে তোলেন বিখ্যাত মানষের প্রতিকৃতি।